ঢাকা , রবিবার, ২২ জুন ২০২৫ , ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে জনদুর্ভোগে মানুষ ঢাকা মেডিকেল কলেজ বন্ধ ঘোষণা নগর ভবনে মেয়র ইস্যুতে রাজনীতির খেলা নগর ভবনে মেয়র ইস্যুতে রাজনীতির খেলা আজ সাবেক তিন সিইসির নামে মামলা দেবে বিএনপি নির্বাচনকে নিরপেক্ষ করতে জামায়াত সরকারকে সহযোগিতা করবে- গোলাম পরওয়ার নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন জরুরি-প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ নয়, কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিতÑ প্রধান উপদেষ্টা বিচার বিভাগের জাতীয় সেমিনার আজ থাকবেন প্রধান উপদেষ্টা চলতি বছরের সর্বোচ্চ ডেঙ্গু রোগী ৩৫২ জন শনাক্ত মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ নগরবাসী মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির পথে সবচেয়ে বড় বাধা ইসরায়েল- এরদোয়ান তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের হুঁশিয়ারি পুতিনের ইসরায়েলকে হামলা বন্ধ করতে বলবেন না ট্রাম্প আলোচনা বাতিলের পর বেড়েছে পাল্টাপাল্টি হামলা মুহুরী নদীর পানি নামতে শুরু করেছে টঙ্গীতে অপহরণকারী চক্রের ৫ সদস্য গ্রেফতার জয়পুরহাটে ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতি স্বর্ণ লুটের দাবি ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস-বাস দুর্ঘটনা নিহত ১ নরসিংদীতে বিএনপির সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ছাত্রদলকর্মীর মৃত্যু
* নতুন বাজারে সড়ক অবরোধ ইউআইইউ শিক্ষার্থীদের * অবরোধ প্রত্যাহারের অনুরোধ ইউআইইউ কর্তৃপক্ষের * জুলাই যোদ্ধাদের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ ‘জুলাই ঐক্য’ * পুলিশের লাঠিচার্জে আহত ৩, ফের নতুনবাজার অবরোধ শিক্ষার্থীদের

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে জনদুর্ভোগে মানুষ

  • আপলোড সময় : ২২-০৬-২০২৫ ০৫:২৬:৫৩ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২২-০৬-২০২৫ ০৫:২৬:৫৩ অপরাহ্ন
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে জনদুর্ভোগে মানুষ
রাজধানীর নতুন বাজার এলাকায় রাস্তা অবরোধ করে ৫ দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য আন্দোলন করছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থীরা (ইউআইইউ)। সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা রাস্তা আটকিয়ে আন্দোলন করায় জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে লাঠিচার্জ করতে বাধ্য হয় পুলিশ। এতে ৩ আহত হলে ফের নতুনবাজার অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। তবে তাদের আন্দোলনের কারণে নতুন বাজার এলাকার রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী মানুষজনকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে শিক্ষার্থীরা মূল সড়কে অবস্থান নিলে নতুন বাজার-গুলশান-বনশ্রী সংযোগ সড়কে যান চলাচলে বড় ধরনের বিঘ্ন ঘটে। পুলিশের লাঠিচার্জে সাময়িক ছত্রভঙ্গ হওয়ার পর রাজধানীর নতুনবাজার এলাকা ফের অবরোধ করেছেন বেসরকারি ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) শিক্ষার্থীরা। এদিন দুপুর ১২টার পর নতুনবাজার মোড়ের একপাশে তাদের অবস্থান করতে দেখা যায়। বহিষ্কারাদেশ বাতিলসহ পাঁচদফা দাবিতে শিক্ষার্থীরা এই কর্মসূচিতে নেমেছেন। এদিন সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সড়ক অবরোধ করে পূর্বঘোষিত ব্লকেড কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। বেলা ১১টার দিকে পুলিশ শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এসময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। এতে তিন শিক্ষার্থী আহত হন বলে দাবি আন্দোলনকারীদের। শিক্ষার্থীরা জানান, পুলিশ তাদের ওপর হামলা করেছে। তারপরও তারা রাস্তা ছাড়েননি। পুলিশের মারধরে তাদের তিনজন আহত হয়েছেন। যতক্ষণ দাবি না মানা হবে ততক্ষণ তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। এ সময় আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন সেøাগানে সেøাগানে তাদের দাবি জানাচ্ছেন। তাদের ‘হয় বহিষ্কার বাদ যাবে, না হয় আমার লাশ যাবে’, ‘প্রত্যাহার বহিষ্কার, তারপর হবে সংস্কার’, ‘পা চাটলে পুরস্কার, না চাটলে বহিষ্কার’, ‘বহিষ্কার প্রত্যাহার, করতে হবে করতে হবে’, ‘অথরিটি স্বৈরাচার, এবার তোরা গদি ছাড়’, ‘প্রাইভেটখাতে শিক্ষা কর, করতে হবে প্রত্যাহার’, ‘১ ২ ৩ ৪, প্রাইভেট সংস্কার’, ‘প্রাইভেট সব মাঠে থাক, সিন্ডিকেট নিপাত যাক’ সেøাগান দিতে দেখা যায়। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জুলাই পরবর্তী বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশি আক্রমণ কোনোভাবেই কাম্য নয়। জুলাই ঐক্যের পক্ষ থেকে আমরা এই হামলার নিন্দা জানাই। একইসঙ্গে এই হামলার সাথে জড়িত পুলিশ সদস্য এবং তাদের নির্দেশদাতাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাচ্ছি। এতে আরও বলা হয়েছে, ইউনাইটেড ইউনিভার্সিটির ২৫ জন শিক্ষার্থীকে অন্যায়ভাবে বহিষ্কারের জন্য নতুন বাজার ব্লকেড কর্মসূচিতে একাত্মতা জানাচ্ছে ‘জুলাই ঐক্য’। জুলাই অভ্যুত্থানের সম্মুখসারির যোদ্ধাদের টার্গেট করে এই ধরনের অন্যায় সিদ্ধান্তের জন্য ইউনাইটেড ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই সরকারের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার না করা হলে শিক্ষার্থীদের সাথে একত্রে সম্মিলিত সিদ্ধান্ত মোতাবেক যেকোনো পদক্ষেপের সঙ্গে থাকবে জুলাই ঐক্য। ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ইউআইইউ) কর্তৃপক্ষ ২৬ জন বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীর বিষয়ে পুনর্বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছে। শনিবার বেলা সোয়া ১টার দিকে রাজধানীর নতুন বাজারে অবস্থানরত আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে কর্তৃপক্ষ এ কথা জানায়। ইউআইইই’র পক্ষ থেকে এক নারী অধ্যাপক শিক্ষার্থীদের মাঝে এসে বলেন, যেসব শিক্ষার্থী অভিভাবকসহ বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিত হবেন, তাদের বহিষ্কারাদেশ পুনর্বিবেচনা করা হবে। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি। এরপর শিক্ষার্থীদের সড়ক ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে পুলিশের ডিসি বলেন, মনে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সহনশীল। এখন আপনারা সড়ক ছেড়ে দিতে পারেন। তবে নিঃশর্ত প্রত্যাখ্যান চান শিক্ষার্থীরা। তারা জানান, বহিষ্কারাদেশটি ছিল অযৌক্তিক। তাই এটি শর্ত ছাড়া এবং পূর্ণাঙ্গভাবে প্রত্যাহার করতে হবে। এদিকে একাধিক দাবিতে রাজধানীর নতুন বাজার এলাকায় সড়ক অবরোধ করে আন্দোলনের কারণে নতুন বাজার এলাকায় সড়কে বন্ধ হয়ে যায়। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে দুর্ভোগে পড়ে স্কুল-কলেজ-অফিস-কর্মস্থলগামী মানুষেরা। ভুক্তভোগীরা জানান, এই সড়ক সকাল থেকে এমন অবরোধের কারণে তাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। যানবাহন না পেয়ে তাদের হেঁটে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দিতে হয়েছে। ভুক্তভোগী অনিক হাওলাদার বলেন, স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে দুর্ভোগে পড়েছি। পারিবারিক গুরুত্বপূর্ণ কাজে যাচ্ছিলাম। কিন্তু এখন এখানে এসে দেখি এই অবস্থা। বাধ্য হয়ে ফিরতে হচ্ছে। মতিঝিল যেতে চাওয়া একটি বাসের যাত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়সাল বলেন, সড়ক তো বন্ধ আন্দোলনের কারণে, এখন হেঁটে যেতে হচ্ছে। গরমও অনেক এর মধ্যে হেঁটে যাওয়া খুব কষ্টকর। রাস্তায় কেন যেন এত দাবি-দাওয়ার জন্য আন্দোলন চলে, এতে যে আমাদের কষ্ট হয় তা কেউ বোঝে না। মোহাম্মদ আমিনুর রহমান পরিবার নিয়ে বাড্ডা থেকে উত্তরা যাওয়ার জন্য বের হয়েছিলেন। কিন্তু বাঁশতলায় এসে তাদের গাড়ি থেকে নেমে যেতে হয়েছে। তিনি বলেন, আন্দোলনের কারণে বিড়ম্বনার মধ্যে পড়তে হয়েছে। পারিবারিক গুরুত্বপূর্ণ কাজে যাওয়ার দরকার ছিল কিন্তু এখন এখানে এসে দেখি এই অবস্থা। বাধ্য হয়ে বাসায় ফিরে যেতে হচ্ছে। রামপুরায় যেতে চাওয়া যাত্রী রফিকুল ইসলাম বলেন, সবকিছু তো বন্ধ আন্দোলনের কারণে। এখন হেঁটে হেঁটে যেতে হচ্ছে। গরমও বেশ পড়েছে। এর মধ্যে হেঁটে যাওয়া খুব কষ্ট। রাস্তায় কেন এত দাবি-দাওয়ার আন্দোলন চলে? এতে আমাদের কত কষ্ট হয় তারা কেউ বোঝে না। সরেজমিনে দেখা যায়, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বাটারা থানা সংলগ্ন কুড়িল থেকে রামপুরাগামী রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন করছেন। তবে সকাল থেকে রামপুরা থেকে কুড়িলগামী রাস্তাও যান চলাচল বন্ধ ছিল তাদের আন্দোলনের কারণে। পরবর্তীতে দুপুরের পর এ রাস্তা থেকে ব্যারিকেড উঠিয়ে নেয় পুলিশ, ফলে যান চলাচল পুনরায় শুরু হয়। তবে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলছেন, তাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে এবং তাদের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে আহত করেছে। তারা পুলিশের এই আচরণের তীব্র নিন্দা জানান এবং দোষীদের শাস্তি দাবি করেন। এছাড়া শিক্ষার্থীরা আরও যোগ করেন তাদের দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত তারা রাস্তা ছেড়ে যাবেন না। ইউআইইউ সূত্র ও শিক্ষার্থীরা জানান, গত ২৬ ও ২৭ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের অসন্তোষের জেরে উপাচার্যসহ ১১ জন প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদত্যাগ করেন। এরপর ২৮ এপ্রিল ইউআইইউ কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য সব শিক্ষা কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করে। যদিও ২০ মে থেকে অনলাইন ক্লাস শুরু হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ তা প্রত্যাখ্যান করে ক্যাম্পাসে সরাসরি ক্লাস ও প্রশাসনিক স্বচ্ছতা নিশ্চিতের দাবি করে আসছেন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের যৌক্তিক ১৩ দফা দাবি দীর্ঘদিন ধরে উপেক্ষা করে আসছে। উল্টো আন্দোলন দমন করতে বহিষ্কার করা হচ্ছে। গত ২ জুন ৪১ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তাদের মধ্যে ২৪ জনকে স্থায়ী ও ১৬ জনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। বাকি একজনকে সতর্কবার্তা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ইউআইইউ রিফর্ম আন্দোলনে অংশগ্রহণের কারণে গত ২৬ এপ্রিল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘নানা নাটকীয়তা ও বিলম্বের’ মধ্যেও ন্যায্য বিচার থেকে বঞ্চিত রয়েছেন শিক্ষার্থীরা। দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনে ধরনা দিলেও কার্যকর কোনো সমাধান আসেনি। এর ফলে ‘আরেকটি জুলাই’ আসার আগেই তারা আবারও রাজপথে নামতে বাধ্য হয়েছেন। আন্দোলনকারীদের একজন লাবিব মুহান্নাদ জানান, জুলাই অভ্যুত্থানে যে শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছিলেন, তাদের ২৫ জনকে বহিষ্কার করেছে ইউনাইটেড ইউনিভার্সিটি। ইউনাইটেড গ্রুপ আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গসংগঠনগুলোকে টাকা দিতো। তারা জুলাই অভ্যুত্থানে জড়িত শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের মুখে ফেলেছে। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা তাদের অধিকার রক্ষার জন্য আন্দোলন করেছিলেন, তাদের আশ্বাস দিয়ে আট মাস বসিয়ে রাখা হয়। পরে তারা ভিসির পদত্যাগসহ তাদের অধিকার রক্ষায় ফের আন্দোলনে নামেন। ওই আন্দোলন দমানোর জন্য ২৫ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আমরা তাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার চাই। আন্দোলন থেকে শিক্ষার্থীরা ৫ দফা আন্দোলন উপস্থাপন করেছেন। দাবিগুলো হল-১. ইউআইইউ কর্তৃক অন্যায়ভাবে সব বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের নিঃশর্ত বহিষ্কার প্রত্যাহার ও ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে। যেসব শিক্ষার্থীরা শোকজ পেয়েছেন ও বহিষ্কৃত হয়েছেন তারা বিগত ২ মাস যাবৎ ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেননি। এছাড়াও নানা মানসিক, সামাজিক ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কেবলমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অন্যায় সিদ্ধান্তের জন্য। সেজন্য বহিষ্কৃতদের বহিষ্কারাদেশ বিনা শর্তে তুলে নিতে হবে এবং যেসব একাডেমিক ও অন্যান্য ক্ষতি হয়েছে সেসবের ক্ষতিপূরণ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে দিতে হবে। ২. বহিষ্কারের সঙ্গে জড়িত সব ছাত্র-শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঠিক তদন্তের মাধ্যমে শাস্তির আওতায় আনা। যেসব কর্তৃপক্ষ সদস্য, ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য, শিক্ষক, স্টাফ ও শিক্ষার্থীদের প্রমাণ ছাড়া মিথ্যা অভিযোগের কারণে ও কুট-কৌশলে শিক্ষার্থীরা অন্যায়ভাবে বহিষ্কৃত ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের অন্যায়ের সুষ্ঠু তদন্ত ও শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। ৩. ইউআইউতে দীর্ঘদিন ধরে চলা অনিয়ম-অসুবিধা ও স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে রিকর্ম দাবিসমূহ বাস্তবায়ন। ইউআইইউ রিফর্মের যেসব দাবি পূরণ করা হয়নি সেসব দাবি পূরণ করতে হবে। পাশাপাশি যেসব কর্তৃপক্ষ সদস্যের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতা ও রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার অভিযোগ আছে তাদের বহিষ্কার নিশ্চিত করতে হবে। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক ব্যবসাকরণ ও মান অবনতির জন্য দায়ী। ৪. বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য একটি স্বাধীন সংস্কার কমিশন গঠন করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ইউআইইউর সাম্প্রতিক অস্থিরতাসহ প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো সমস্যা সমাধানে উদাসীন। শত ছুটাছুটি করেও ইউআইইউর ক্রিটিক্যাল সমস্যার সমাধান তারা করতে পারেননি এবং তারা নিজেরাই তাদের অপারগতা স্বীকার করেছেন। তারা মূলত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমস্যাগুলোকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। এজন্য কেবল প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিষয় তদারকির জন্য একটি আলাদা ও স্বতন্ত্র মঞ্জুরি কমিশন গঠন করতে হবে। ৫. বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর আরোপিত ১৫ শতাংশ কর বাতিল করতে হবে। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর সরকারের আরোপিত ১৫ শতাংশ কর মওকুফ করতে হবে এবং সরকারি তদারকিতে এই বাঁচানো অর্থ শিক্ষার্থীদের গবেষণা ও শিক্ষার মানোন্নয়নের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে কি না তা নিশ্চিত করতে হবে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স